রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আমিরাতের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ গণনা শেষে, পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো রেকর্ড পরিমাণ টাকা বাংলাদেশ-ইউএই কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে তীব্র ঝড়ের সতর্ক সংকেতে বাংলাদেশ News Asia , আমিরাতে রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আমিরাতে প্রবাসী বিএনপি পরিবার ওয়ার্ল্ড অনলাইন গ্রুপের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। দুবাই গ্যাসিসে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান মিজানুর শাহজান বাইসাইকেল ট্রেডিং এর শুভ উদ্বোধন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন দুবাইয়ের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ আমিরাতের আজমানে প্রবাসীদের সাথে নিয়ে সর্ববৃহৎ ইফতার ও দোয়া মাহফিল করেছেন আল-হারামাইন পারফিউমস গ্রুপ অব কোম্পানী লিভারপুলকে হটিয়ে ফের শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি

বাংলাদেশ মানবিকতার দৃশ্যমান নিদর্শন: অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তিন দিনের সফরে গতকাল সোমবার ঢাকায় আসেন। গতকালই তিনি কক্সবাজার চলে যান। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার অবস্থা দেখতেই জোলির বাংলাদেশ সফর। এ সমস্যা সমাধানে করণীয় নিয়েও কথা তিনি কথা বলেছেন আজ।

 

গতকালের মতো আজও রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন জোলি। পরে কুতুপালংয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। ইউএনএইচসিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জোলির বক্তব৵ তুলে ধরা হয়েছে।

 

জোলি বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়। এখনো বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আসা অব্যাহত আছে।

 

জোলি বলেন, ‘আজ কক্সবাজারে যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়শিবিরটি। এখানে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হয়েছে।’ তিনি বলেন, সব শরণার্থীই দুর্দশাগ্রস্ত। তবে রোহিঙ্গারা শুধু গৃহহারা নয়, তারা দেশহারা।

 

বিভিন্ন মানবিক তৎপরতায় জোলি বলেন, রোহিঙ্গাদের যে দেশে জন্ম, সেই দেশের নাগরিকত্ব তারা পায়নি। এটি সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাদের রোহিঙ্গা নামে ডাকাও হয় না।

 

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, দেশে ফেরার পূর্ণ অধিকার আছে রোহিঙ্গাদের। তবে তখনই তারা দেশে ফিরবে, যখন তারা মনে করবে সেখানে তাদের যথেষ্ট নিরাপত্তা আছে। আর ফিরে যাওয়ার পর তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো হবে, সেই নিশ্চয়তাও পেতে হবে।

জোলি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের পর তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘গতকাল এক নারীর সঙ্গে কথা হলো। তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মিয়ানমারে। তিনি আমাকে বললেন, “আমার নিরাপদ ব্যবস্থা না করে যদি ফেরত পাঠাতে চান, এর আগে আমাকে এখানেই মেরে ফেলুন।”’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page