শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আমিরাতের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ গণনা শেষে, পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো রেকর্ড পরিমাণ টাকা বাংলাদেশ-ইউএই কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে তীব্র ঝড়ের সতর্ক সংকেতে বাংলাদেশ News Asia , আমিরাতে রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আমিরাতে প্রবাসী বিএনপি পরিবার ওয়ার্ল্ড অনলাইন গ্রুপের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। দুবাই গ্যাসিসে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান মিজানুর শাহজান বাইসাইকেল ট্রেডিং এর শুভ উদ্বোধন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন দুবাইয়ের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ আমিরাতের আজমানে প্রবাসীদের সাথে নিয়ে সর্ববৃহৎ ইফতার ও দোয়া মাহফিল করেছেন আল-হারামাইন পারফিউমস গ্রুপ অব কোম্পানী লিভারপুলকে হটিয়ে ফের শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি

গণনা শেষে, পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো রেকর্ড পরিমাণ টাকা

 

মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে এবার জমা পড়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। যা এ যাবত কালের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় চার মাস ১০দিন পর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দানবাক্স গুলো খোলা হয়।

এসময় ৯টি লোহার দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এরপর মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে চলে গণনা কার্যক্রম। গণনায় ৯৮ জন মাদরাসার ছাত্র ৯ জন শিক্ষক ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১০ জন আনসার সদস্য অংশগ্রহন করেন। দিনভর গণনা শেষে রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ২ টায় দানের পরিমাণ জানা যায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ।

দানবাক্স থেকে টাকা ছাড়াও স্বর্ণ, রুপা সহজ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। প্রতি তিনমাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হলেও এবার রমজান মাসের কারণে চার মাস ১০দিন পর খোলা হয়েছে।

কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। সে কারণে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষজন এখানে দান করে থাকেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রাতরণার বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদটির খতিব মাওলানা আশারফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাগলা মসজিদের নাম ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্নভাবে দানের টাকা পৌঁছে দেওয়া, মসজিদের উন্নয়নের জন্য দান করার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ দিকে সাধারণ মানুষের শতর্ক থাকতে হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাগলা মসজিদে দানের টাকার পাশাপাশি গবাদিপশু, হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল দান করা হয়। এবং প্রতিদিন আসরের নামাজের পর দানকৃত এসব পশু নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এখানে অনলাইনের মাধ্যমে দান করার কোন ব্যবস্থা নাই। যা দান হয় সরাসরি দান করতে হয়। পাগলা মসজিদের প্রতি মানুষের এমন আবেগ আছে বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ইসলামিক কমপ্লেক্স স্থাপনের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রক্রিয়া এ মাসেই শেষ হবে। এরপর মসজিদের উন্নয়ন কাজে হাত দেওয়া হবে। যেখানে একসাথে ত্রিশ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবে। এই মসজিদের অর্থ বাহিরে অপচয় করার কোন সুযোগ নেই। সকল অর্থ ব্যাংকে জমা থাকে অর্থের লভ্যাংশ এখানকার সাধারণ মানুষের উপকারে ব্যয় করা হয়। মসজিদ নির্মাণের জন্য সকলকে দান করার আহ্বান জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page